সরাসরি গড় নির্ণয়ের সূত্র
আজকের আর্টিকেলের মুল বিষয় হলো সরাসরি গড় নির্ণয়ের সূত্র সম্পর্কে। এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে আমরা গাণিতিক গড় নির্ণয়ের সূত্র, সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে গড় নির্ণয়ের সূত্র, ক্রমিক সংখ্যার গড় নির্ণয়ের সূত্র, গুণোত্তর গড় নির্ণয়ের সূত্র এবং পরিসংখ্যানের গড় নির্ণয়ের সূত্র সম্পর্কেও আলোচনা করবো।
সরাসরি গড় নির্ণয়ের সুত্র
গড়= ∑ Xi / n
এখানে, Xi হলো প্রতিটি মান
n হলো মোট মানের সংখ্যা।
উদাহরনঃ ১০, ১৫, ২০, ২৫ এবং ৩০ এই পাচটি সংখ্যার গড় নির্ণয় করতে হবে।
প্রথমে সবগুলো সংখ্যার যোগফল বের করতে হবেঃ ১০ + ১৫ + ২০ + ২৫ + ৩০ = ১০০
মোট সংখ্যাঃ ৫ টি।
তাহলে গড় হবে, গড় = ১০০/৫
অতএব, গড় = ২০
আশা করি উপরোক্ত তথ্য থেকে সরাসরি গড় নির্ণয়ের সূত্র সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেয়েছেন।
গানিতিক গড় = ∑ Xi / n
এখানে, Xi হলো আলাদা আলাদা ডাটার মান।
n হলো সেটে থাকা মোট ডাটার যোগফল।
সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে গড় নির্ণয়ের সুত্রঃ X= A + ( ∑ fidi ) / ( ∑ fi ) * h
এখানে, X হলো গড়
A হলো অনুমিত গড়, যা যেকোনো একটি শ্রেণীর মধ্যবিন্দু থেকে নেওয়া হয়।
fi হলো প্রতিটি শ্রেণীর ফ্রিকুয়েন্সি।
di হলো প্রতিটি শ্রেণীর মধ্যবিন্দুর মান।
h হলো শ্রেণীর প্রস্থ।
∑ fidi হলো ফ্রিকুয়েন্সি এবং di এর গুনফলগুলির যোগফল।
সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে গড় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম বা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। এই নিয়ম বা পদ্ধতি নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
উদাহরনঃ নিম্নে একটি শ্রেনীভুক্ত ডাটা দেওয়া আছে। উক্ত ডাটা থেকে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে গড় নির্ণয় করতে হবে।
আমরা জানি, ক্রমিক সংখ্যা হলো ১, ২, ৩ , ৪, ৫, ৬, ৭ , ৮, ৯ ইত্যাদি। এই সংখ্যাগুলোর গড় বের করার সুত্রটি হলো,
গড়= ( প্রথম সংখ্যা + শেষ সংখ্যা ) / ২
উদাহরনঃ ক্রমিক সংখ্যা ১, ২ , ৩, ৪ ও ৫ দেওয়া আছে। এদের গড় নির্ণয় করতে হবে।
এখানে, প্রথম সংখ্যা হলো ১ এবং শেষ সংখ্যা ৫।
তাহলে সুত্র অনুযায়ী গড় হবে,
গড়= ( প্রথম সংখ্যা + শেষ সংখ্যা ) / ২
বা, গড়= ( ১ + ৫ ) / ২
বা গড়= ৬ / ২
বা। গড়= ৩
গুনোত্তর গড়= (i=1∏nXi)n1
এখানে, Xi হলো মোট ডাটাসেটের মান।
উদাহরনঃ ২, ৪ ও ৬ এর একটি ডাটাসেট দেওয়া হলো। এখান থেকে গুণোত্তর গড় নির্ণয় করো।
তাহলে প্রথমে সবগুলো ডাটার গুনফলের মান বের করতে হবে অর্থাৎ, ২*৪*৬= ৬৪
এবার, গুণোত্তর গড়= ৩√৬৪ = ৪ ( যেহেতু তিনটি সংখ্যা তাই n এর মান হবে ৩ )
পরিসংখ্যানের গড়কে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। নিম্নে পরিসংখ্যানের আলাদা আলাদা ভাগ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
গানিতিক গড়
গানিতিক গড়= ∑ Xi / n
এখানে, Xi হলো আলাদা আলাদা ডাটার মান।
n হলো সেটে থাকা মোট ডাটার যোগফল।
মাধ্যমিক গড়
যদি n বিজোড় সংখ্যা হয়, তাহলে মাধ্যমিক গড় হবে,
আর যদি n এর মান জোড় হয়, তাহলে মাধ্যমিক গড় হবে,
মাধ্যমিক গড়= { ( n/2) + 1 } /2
হারমোনিক গড়= n/ ∑ 1/ Xi
তাহলে দেরি না করে চলুন জেনে নেই সরাসরি গড় নির্ণয়ের সূত্র সম্পর্কে।
সরাসরি গড় নির্ণয়ের সূত্র
সরাসরি গড় নির্ণয়ের সুত্রটি অংক করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি জনপ্রিয় পদ্ধতি। এই মাধ্যমে যেকোনো মানের সেটের গড় মান বের করা হয়ে থাকে। নিম্নে সরাসরি গড় নির্ণয় করার সুত্র সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।সরাসরি গড় নির্ণয়ের সুত্র
গড়= ∑ Xi / n
এখানে, Xi হলো প্রতিটি মান
n হলো মোট মানের সংখ্যা।
উদাহরনঃ ১০, ১৫, ২০, ২৫ এবং ৩০ এই পাচটি সংখ্যার গড় নির্ণয় করতে হবে।
প্রথমে সবগুলো সংখ্যার যোগফল বের করতে হবেঃ ১০ + ১৫ + ২০ + ২৫ + ৩০ = ১০০
মোট সংখ্যাঃ ৫ টি।
তাহলে গড় হবে, গড় = ১০০/৫
অতএব, গড় = ২০
আমরা জানি, ক্রমিক সংখ্যা হলো ১, ২, ৩ , ৪, ৫, ৬, ৭ , ৮, ৯ ইত্যাদি। এই সংখ্যাগুলোর গড় বের করার সুত্রটি হলো,
গড়= ( প্রথম সংখ্যা + শেষ সংখ্যা ) / ২
উদাহরনঃ ক্রমিক সংখ্যা ১, ২ , ৩, ৪ ও ৫ দেওয়া আছে। এদের গড় নির্ণয় করতে হবে।
এখানে, প্রথম সংখ্যা হলো ১ এবং শেষ সংখ্যা ৫।
তাহলে সুত্র অনুযায়ী গড় হবে,
গড়= ( প্রথম সংখ্যা + শেষ সংখ্যা ) / ২
বা, গড়= ( ১ + ৫ ) / ২
বা গড়= ৬ / ২
বা। গড়= ৩
আশা করি উপরোক্ত তথ্য থেকে সরাসরি গড় নির্ণয়ের সূত্র সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেয়েছেন।
গাণিতিক গড় নির্ণয়ের সূত্র
পূর্বে আমরা সরাসরি গড় নির্ণয়ের সূত্র সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো গানিতিক গড় নির্ণয় করার বিভিন্ন সুত্র সম্পর্কে। নিম্নে গানিতিক গড় নির্ণয় করার সুত্র সম্পর্কে তথ্য উল্লেখ করা হলো।গাণিতিক গড় (Arithmetic Mean) নির্ণয় করার জন্য নিম্নলিখিত সূত্র ব্যবহার করা হয়:
যেমন, যদি আমাদের কাছে নামক টি সংখ্যা থাকে, তাহলে গাণিতিক গড় হবে:
উদাহরণ:
ধরা যাক, আমাদের কাছে ৫টি সংখ্যা আছে।
তাহলে, গাণিতিক গড় হবে:
অতএব, গাণিতিক গড় হলো ৭।
গানিতিক গড় = ∑ Xi / n
এখানে, Xi হলো আলাদা আলাদা ডাটার মান।
n হলো সেটে থাকা মোট ডাটার যোগফল।
সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে গড় নির্ণয়ের সূত্র
পূর্বে আমরা সরাসরি গড় নির্ণয়ের সূত্র এবং গানিতিক গড় নির্ণয় করার বিভিন্ন সুত্র সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে গড় নির্ণয়ের সুত্র সম্পর্কে।সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে গড় নির্ণয়ের সুত্রঃ X= A + ( ∑ fidi ) / ( ∑ fi ) * h
এখানে, X হলো গড়
A হলো অনুমিত গড়, যা যেকোনো একটি শ্রেণীর মধ্যবিন্দু থেকে নেওয়া হয়।
fi হলো প্রতিটি শ্রেণীর ফ্রিকুয়েন্সি।
di হলো প্রতিটি শ্রেণীর মধ্যবিন্দুর মান।
h হলো শ্রেণীর প্রস্থ।
∑ fidi হলো ফ্রিকুয়েন্সি এবং di এর গুনফলগুলির যোগফল।
সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে গড় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম বা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। এই নিয়ম বা পদ্ধতি নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- প্রথমে প্রতিটী বিন্দুর মধ্যবিন্দু নির্ণয় করতে হবে। এক্ষেত্রে মধ্যবিন্দু নির্ণয়ের সুত্রটি হবে,
- Xi= (Upper class limit + Lower class limit) / 2
- এরপর অনুমিত গড় A এর মান নির্ণয় করতে হবে।
- প্রতিটি শ্রেণীর ক্ষেত্রে di এর মান নির্ণয় করতে হবে। সেক্ষেত্রে সুত্র হবে, di= ( Xi - A ) / h
- এরপর fi এবং di এর গুনফল এর মান বের করতে হবে। এবার গুনফলের মান যোগ করতে হবে।
- সবশেষে সুত্রের সাহায্যে গড় নির্ণয় করতে হবে।
এবার উক্ত ডাটা থেকে মধ্যবিন্দু বের করতে হবে।
এবার di এর মান নির্ণয় করতে হবে।
∑ fi = 5 + 8 + 12 + 15 + 10 = 50
এবার সুত্র প্রয়োগ করে গড় নির্ণয় করতে হবে।
X= 25 + (17/50) * 10 = 28.4
অতএব গড়= ২৮.৪
ক্রমিক সংখ্যার গড় নির্ণয়ের সূত্র
পূর্বে আমরা সরাসরি গড় নির্ণয়ের সূত্র, গানিতিক গড় এবং সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে গড় নির্ণয় কিভাবে করতে হয় তা সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই ক্রমিক সংখ্যার গড় নির্ণয় করার সুত্র সম্পর্কে। নিম্নে সুত্রটি উল্লেখ করা হলো।আমরা জানি, ক্রমিক সংখ্যা হলো ১, ২, ৩ , ৪, ৫, ৬, ৭ , ৮, ৯ ইত্যাদি। এই সংখ্যাগুলোর গড় বের করার সুত্রটি হলো,
গড়= ( প্রথম সংখ্যা + শেষ সংখ্যা ) / ২
উদাহরনঃ ক্রমিক সংখ্যা ১, ২ , ৩, ৪ ও ৫ দেওয়া আছে। এদের গড় নির্ণয় করতে হবে।
এখানে, প্রথম সংখ্যা হলো ১ এবং শেষ সংখ্যা ৫।
তাহলে সুত্র অনুযায়ী গড় হবে,
গড়= ( প্রথম সংখ্যা + শেষ সংখ্যা ) / ২
বা, গড়= ( ১ + ৫ ) / ২
বা গড়= ৬ / ২
বা। গড়= ৩
গুণোত্তর গড় নির্ণয়ের সূত্র
পূর্বে আমরা সরাসরি গড় নির্ণয়ের সূত্র, গানিতিক গড়, সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে গড় এবং ক্রমিক সংখ্যার গড় সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো গুনোত্তর গড় নির্ণয়ের সুত্র সম্পর্কে।গুনোত্তর গড়= (i=1∏nXi)n1
এখানে, Xi হলো মোট ডাটাসেটের মান।
n হলো মোট সংখ্যা
1∏nXi হলো সবগুলো ডাটার মানের গুনফল।
1∏nXi হলো সবগুলো ডাটার মানের গুনফল।
উদাহরনঃ ২, ৪ ও ৬ এর একটি ডাটাসেট দেওয়া হলো। এখান থেকে গুণোত্তর গড় নির্ণয় করো।
তাহলে প্রথমে সবগুলো ডাটার গুনফলের মান বের করতে হবে অর্থাৎ, ২*৪*৬= ৬৪
এবার, গুণোত্তর গড়= ৩√৬৪ = ৪ ( যেহেতু তিনটি সংখ্যা তাই n এর মান হবে ৩ )
পরিসংখ্যানের গড় নির্ণয়ের সূত্র
পূর্বে আমরা সরাসরি গড় নির্ণয়ের সূত্র, গানিতিক গড়, সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে গড়, ক্রমিক সংখ্যার গড় এবং গুণোত্তর গড় সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই পরিসংখ্যানের গড় নির্ণয় করার সুত্র সম্পর্কে।পরিসংখ্যানের গড়কে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। নিম্নে পরিসংখ্যানের আলাদা আলাদা ভাগ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
গানিতিক গড়
গানিতিক গড়= ∑ Xi / n
এখানে, Xi হলো আলাদা আলাদা ডাটার মান।
n হলো সেটে থাকা মোট ডাটার যোগফল।
মাধ্যমিক গড়
যদি n বিজোড় সংখ্যা হয়, তাহলে মাধ্যমিক গড় হবে,
মাধ্যমিক গড়= ( n + 1 ) / 2
আর যদি n এর মান জোড় হয়, তাহলে মাধ্যমিক গড় হবে,
মাধ্যমিক গড়= { ( n/2) + 1 } /2
হারমোনিক গড়= n/ ∑ 1/ Xi
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url